Friday, August 7, 2009

অতিথি পাখির সঙ্গে

ক. গ্রস্তগান
দেখতে চেয়েছি এক দিব্য সকাল
ফড়িঙের মমি-মুগ্ধ ঘুড়ির কঙ্কাল

হাতের মুঠোয় আজি চাইছি দুপুর
শিলাবৃষ্টি... শীধুস্বপ্ন... প্রান্ত বহুদূর

চোখে সায়াহ্নের মেঘ- চিনেছি গোধূলি
আয় রাত্রি- বোন আয় ‘জুজুফুল’ তুলি

খ. তুমিরা
চলো, চলো ফের ফিরে আসি।
দ্যাখো, অন্ধদিন রাশি রাশি।

এসো, এসো একসাথে বিরোধিতা
করি আর গদ্যেই লিখি কবিতা-

যাও, যাও তুমি অবশিষ্ট যাও
যেদিকে আমার স্বপ্ন, কুসুমে ফোটাও

তুমি, ও তোমার পূরক তুমিরা প্রীত?
তাতে বিকশিত গান- আমি মূর্ছিত...

গ. শ্মশান + ফাল্গুনী রায় + মাতৃসদন
এই যে মাথায় বাবুইপুরের ভোর... পরপরই ইশকুল, ঘণ্টার দৌড়!
এই যে আঙুলে অঘ্রাণের খড়... আসন্ন শীতের পৃষ্ঠা, মৃত সহোদর!
এই যে পাঁজরে লোহা, কয়লা-ইঞ্জিন... রেলশাত্রে লেখা লাল, লালমাই দিন!
এই যে শূন্য, পণ্ড পর্যটন... ও ফাল্গুনী, শ্মশানের পাশে আজও মাতৃসদন!

এই হাওয়া তো উস্কানিমূলক... ফলে, হাওয়াতেই মৃত কিছু কথাবার্তা হোক!

ঘ. রোমন্থন
আজও প্রেম পাখিপন্থি... বনে উড্ডিন পত্রালি
তার সৎকারে আজ এই হাওয়া-ঘূর্ণন!

আজও ফুল, তার পাদদেশে রুগ্ন কোনও মালি!

আজও রাত্রি চিরে ছিঁড়ে চূর্ণ
দী পা লি দী পা লি

ঙ. উড়ালকাহিনী

-ও আমি এক মাঘদুপুরের গল্প ছিঁড়ে সোয়েটার বুনেছি
-ও আমি এক জ্যোতিষীকে বিশ্বাস করে মরতে যাইনি
-ও আমি এক নদীপূর্ণিমায় শ্মশানে দেখেছি কুন্দবন
-ও আমি এক শহুরে-শ্রাবণে আটকে গিয়েছি জাদুঘরে
-ও আমি এক বৈষণ্নের ধ্বনি-মাফলার পরেছি গলায়
-ও আমি এক দাহপত্রে লিখেছি লোহিত বর্ণ-অভিজ্ঞান
-ও আমি এক দৃশ্যারণ্যের মনুমেন্ট, ফের মিলিয়ে গিয়েছি
‘ও’ এই অক্ষরের পূর্বে এক ‘তুমি’- ত্রস্তবাসিনী পাখি:
পাখিই! না পরি?

আশ্চর্য! ডানা তো দেখাওনি।

No comments:

Post a Comment