Saturday, August 8, 2009

পরীর ডানা, ধানমর্ম

পরীর ডানা, এ বেলা মাটিতে নামো
আমি ধ্যানীমাঠ... উড়তে যাব না ফের-
এ যে ফিরে আসি- মাঠশেষে আমি গ্রামও...
এই বিবরণ-ই মোটামুটি আমাদের!

যেহেতু আমরা আমাকে কুড়োতে যাই;
আমি ধানীমাঠ, বৃষ্টিজলও জানে!
চালকুড়িগত-শিল্প শিখেছি তাই
পরীর ডানা গো, ডেকেছি অনুধ্যানে...

উড়তে যাব না, আল্পনা দেব এঁকে,
আল্পনা নয় চাল-কণা গুঁড়ো গুঁড়ো-
নাম লিখে দেব ডানা-সমীচীন থেকে
পঙক্তিগুলি যে বাতাসে বানায় চূড়ো...

উড়তে যাব না, ডানা-চূড়ো তবু লিখি?
তিনটি শালিক ‘তিনজন’ হয়ে দ্যাখে!
কোন রাতে যেন হারাল চাঁদের সিকি...
এই বিবরণ অন্য কবিও লেখে!

তাতে কী... লিখুক, লেখা হোক সব হুহু
চালকুড়িগান, গুঁড়ো গুঁড়ো হাহাকার
পরীর ডানায়- যা আঁকা স্বপ্নবহুল
শাদা দুধস্মৃতি, ধানশীষে উপহার...

আমি মাঠে মাঠে উড়তে যাব না ফের...
শুধু উড়ে যাক বাতাসে লুকানো বই!
এই বিবরণ-ই মোটামুটি কবিদের-
সবাই মানবে? থাকুক না দ্বন্দ্বই...

দূরে থাক দিন, রাত থাক আরও দূরে
এ কোন সময়? দুয়েন্দের অভিমান
বাঙলা কবিতায়? বিষণ্ন দুপুরে
পরীর ডানা, মাটিতে নামো! আমি ধান...

আমি ধান কীনা, কৃষি জ্ঞানে মাঠ জানে
মাঠতক আমি মগ্ন, উধাও... একা!
পঙক্তিগুলিও কৃষিজীবী মনেপ্রাণে-
এই বিবরণ-ই হয়নি... হয় না লেখা...

No comments:

Post a Comment