Saturday, August 8, 2009

সম্প্রদায়

এই যে অশেষ বাক্য
দিকে দিকে
মাঠময়
ধান বুনিবার ছলে
ছড়িয়ে দিলাম; এর কিন্তু অর্থ এই-
বিলুপ্তির তীরে আজও
কৃষিজীবী সম্প্রদায়
সকলে যায়নি...

কেননা, ভোরের প্রশ্রয় পেয়ে
একদল বকপাখি, ঋষি;
ঝিলের সন্ধানে গিয়ে
আসন্ন শীতের শর্ত
প্রস্তাব করেছে
এই সন্ধ্যা-
অঙ্কুরিত কুয়াশার ক্বাথে...

গ্রামান্তের সব নভো, দ্যাখো
ঘরবাড়ি তুচ্ছজ্ঞানে
উঠতি কুহকে দিব্য
পাঠায় সংকেত!
আর যারা সাম্প্রতিকী
পাড়াময় ঝিকিমিকি
শাড়িতে নতুন-
অন্ধ এক ভিখিরিকে
ভিক্ষা দিতে গিয়ে
ঝোলা ভরে বাক্য ভরে দেয়!

যদিও অনেক শব্দ
সেই বাক্যে বাকি ছিল, ফলে
যথার্থ নিজেকে দেখে
ছুঁয়ে ফেলি ছায়া
যেহেতু যেখানে থাকি, আরশিনগর...

ক্রমে যত প্রসঙ্গ জন্মেছে, জন্মায়
মনুমেন্ট মেঘ থকে
মৃদু-হাওয়া... গান
আমার পড়শি পর্ণ-
যত প্রব্রজ্যাকুটির
আমি কিন্তু লব্ধ করি ভাষা; নদীটির...

এদিকে আজও কিছু, ভিক্ষামার্গ
মাড়িয়ে মাড়িয়ে যাই!
ফলে, মাঠের মৌনতাজাত
পুরনো দুপুর
আলগোছে ধরে ফেলি
যে কোন রোদেই...

ওই যে আহিড়ি সভা, শ্রী শ্রী রীতি
কুলবংশ... কবন্ধউদ্ধৃতি-
আমি কিন্তু রপ্ত করি রঙিন বিস্মৃতি

কেননা, অসংখ্য দিন, আপামর ধুলো হয়ে
উড়ে গেছে উৎসের সমীপে
আমি তাকে সমীপেষু করি
দগ্ধ
পত্রে পত্রে
আর
ছত্রে ছত্রে
ছুটে আসে অনেক পাহাড়
এক শস্য-পাদদেশে...

আমি সে দেশস্থ কৃষক
ধান বুনিবার ছলে
মাঠময় আবাদিত;

যেহেতু আমার পুত্র- ধ্বনিত কন্যারা
দিকে দিকে
গুপ্ত
বাক্যসম্প্রদায়...

No comments:

Post a Comment